সূফী সাধক আনোয়ারুল হক – আবু আলী আক্তার উদ্দিন আবির্ভাব আবহে –
বিশ্বজুড়ে অগ্রহায়ণ মাসব্যাপী শান্তি সমাবেশ উদযাপিত হলো
সংলাপ ॥ মানবজাতির জন্য সর্বযুগে-সর্বকালে, সকল ধর্মে সৎ-স্বভাবের উপর জোর দেয়া হয়েছে। হাক্কানী দর্শন জোর দিয়েছে স্ব-ভাবের উপর। সূফী সাধক আনোয়ারুল হক-এঁর বাণী – ‘দর্শন আর উপলব্ধিতে হয় সত্য’, সেই সত্যের একটি রূপ হলো স্ব-ভাব। অভ্যাসের পরিবর্তন-বিবর্তন-রূপান্তরের মধ্য দিয়ে স্ব-ভাবে প্রতিষ্ঠিত মানুষই জগতের সম্পদ। মানবজাতির জন্য অশেষ কৃপা, আশীর্বাদ ও সত্যের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করার আহ্বান নিয়ে যুগে যুগে সত্যমানুষকুল পৃথিবীতে আবির্ভূত হন, মানুষের মাঝে রেখে যান বাস্তবতার আলোকে সত্যমানুষ হয়ে উঠার শিক্ষা-দীক্ষা ও জ্ঞান সুষমা। ধর্মীয় শাস্ত্রাদিতে ঘোষণা এসেছে, ‘বিশ্বের প্রতিটি জনপদে, প্রতিটি ভাষা ও জাতিতে তাদের মধ্য হতে রসূল তথা সত্যমানুষ প্রেরণ করা হয়েছে।’ বাংলা-বাঙালির জন্য বাঙালি সাধকই শ্রেষ্ঠ ও সত্য-সুন্দর-শান্তি পথের দিশারী।
বিশ্বজুড়ে বিরাজমান সত্যমানুষের স্রোতধারায় উজ্জ্বল নক্ষত্র সূফী সাধক আনোয়ারুল হক – আবু আলী আক্তার উদ্দিন। কর্ম-মানবতা-শান্তির বার্তা নিয়ে মানুষেরই কল্যাণে তাঁদের আবির্ভাব এই ধূলির ধরায়। বাংলার বুকে আবির্ভূত এই মহান সাধকদ্বয় বাংলা – বাঙালির প্রাণপুঁরুষ, সত্যের কান্ডারি। তাঁদের অগণিত ভক্ত-অনুসারী-সত্যানুসন্ধানী সত্যব্রত দর্শন ও আদর্শের আলোকে সত্যমানুষ হয়ে উঠার প্রত্যয় ও অঙ্গীকার নিয়ে পথ চলছেন, কর্মে-চিন্তায় নিমগ্নতার পাশাপাশি সত্যমানুষ তথা এক-এর স্বকীয়তায় নিজকে আলোকিত করার ব্রত নিয়ে। প্রকৃতির নিগূঢ় রহস্য ভান্ডারে সমৃদ্ধ অগ্রহায়ণ সত্যব্রতী হওয়ার পথের যাত্রীদের জীবনে বাঙালি সংস্কৃতি ও উৎসবে শেকড় চেনার, নিত্য নতুন মাত্রা যোগের মাস এবং অনাবিল আনন্দ, প্রেরণা ও সত্যের আলোয় উদ্ভাসিত হওয়ার মাস।
এই মাসেই বাংলার বুকে আবির্ভূত হয়েছিলেন সত্যব্রত দর্শনের দুই মহান সাধকপুঁরুষ সূফী সাধক আনোয়ারুল হক – আবু আলী আক্তার উদ্দিন। তাঁদের আবির্ভাবে বাংলার এই অঞ্চল শান্ত-সমৃদ্ধময় হয়ে উঠে। সাধকদ্বয়ের আবির্ভাব মাস অগ্রহায়ণকে মূল ধরে প্রতি বছর ১ অগ্রহায়ণ ‘হাক্কানী বর্ষবরণ’ ও আবির্ভাব আবহ শুভ উদ্বোধন হতে শুরু করে ৩০ অগ্রহায়ণ পর্যন্ত মাসব্যাপী সমগ্র বাংলা ও বিশ্বজুড়ে অবস্থিত হাক্কানী আস্তানা, দরবার ও খানকা শরীফের ভক্ত-আশেকান ও সত্যব্রতী হওয়ার পথের যাত্রীগণ শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন ও শান্তি সমাবেশ-এর আয়োজন করেন।
মাসব্যাপী আবির্ভাব আবহ উদযাপনে
মিরপুর আস্তানা শরীফ
সূফী সাধক আনোয়ারুল হক – আবু আলী আক্তার উদ্দিন আবির্ভাব আবহে হাক্কানী চিন্তনপীঠের প্রাণকেন্দ্র মিরপুর আস্তানা শরীফ নতুন চিন্তায়, নতুন আঙ্গিকে অগ্রহায়ণ মাসব্যাপী শান্তি সমাবেশের আয়োজন করে। ১ অগ্রহায়ণ ১৪২৪, ১৫ নভেম্বর ২০১৭, বুধবার হতে ৩০ অগ্রহায়ণ’২৪, ১৪ ডিসেম্বর’১৭ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত শান্তি সমাবেশে বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যে ছিল শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনে দুই মহান সাধকের মাজার চান্দপুরশরীফ ও ফরিদপুরশরীফ যাত্রা, হাক্কানী বর্ষবরণ, হাক্কানী ওজায়িফ পাঠ, মঙ্গলপ্রদীপ শ্রদ্ধানিবেদন ও সান্ধ্যকালীন হাক্কানী নৈবেদ্য, বিশেষ পর্ব-কেক কেটে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, বিশেষ আলোচনা পর্ব, বাণী তাৎপর্য অন্বেষণ, ভাবসঙ্গীত ও শোধনসেবা।
১ অগ্রহায়ণ (১৫ নভেম্বর) বুধবার হতে ২৮ অগ্রহায়ণ পর্যন্ত প্রতি রবি, বৃহস্পতিবার ও বিশেষ দিনগুলোতে অনুষ্ঠান শুরু হয় বিকেল ৪.০১ মিনিটে এবং অন্যান্য দিন অনুষ্ঠান শুরু হয় বিকেল ০৫.০১ মিনিটে – চলে মধ্য রাত অবধি।
প্রতিদিন দিবা-রাত্রি সন্ধিক্ষণে দরবারের পশ্চিম পার্শ্বের মঙ্গলপ্রদীপ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মিরপুর আস্তানা শরীফের মোট ২৮ জন ভক্ত-আশেকান এবং দরবারের পূর্ব পার্শ্বে মঙ্গলপ্রদীপ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মোট ৩৩ জন ভক্ত-আশেকান।
অগ্রহায়ণ মাসব্যাপী বিশেষ পর্বে মহান সাধকদ্বয়ের স্মরণে কেক কেটে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন মোট ৩৮ জন ভক্ত-আশেকান। মাসব্যাপী বাণী তাৎপর্য অন্বেষণ পর্বে সূফী সাধক আনোয়ারুল হক-এঁর ৪টি চিরন্তন বাণী – ‘জ্ঞানী গুণীজন কারো মন্দ গায় না-বিপথগামীও করে না, যারা বোঝে না তারা অজ্ঞ, শিক্ষিত হলে হবে কি’, ‘সরলে গরল মিশাইওনা, গরলে সরল মিশাইও না’, ‘যার প্রেমের শুরু নেই, শেষও নেই তার প্রেম কাঁচা’, ‘দরবারে এসো আশেকান হিসেবে, নারী-পুরুষ হিসেবে নয়’, এবং সূফী সাধক আবু আলী আক্তার উদ্দিন-এঁর ১টি চিরন্তন বাণী-‘আত্মকর্ম বিশ্লেষণে ব্রত নিলে সঠিক পথের সন্ধান পাওয়া যাবে’- ১৮৯ জন ভক্ত-আশেকান ও বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ তাৎপর্য অন্বেষণ করেন।
১ অগ্রহায়ণ ছিল মাসব্যাপী আবির্ভাব আবহ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। প্রথম প্রহরে আবির্ভাব উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক শাহ্ শওকত আলী খান-এঁর নেতৃত্বে মিরপুর আস্তানা শরীফের ১৭ সদস্য বিশিষ্ট ভক্ত ও অনুসারীর একটি দল শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনে সূফী সাধক আনোয়ারুল হক-এঁর মাজার চান্দপুরশরীফ যাত্রা করেন এবং যথাযথ কৃতজ্ঞতা ও ভক্তির সাথে মহান সাধক-এঁর পবিত্র রওজায় গিলাফ, ফুল এবং মঙ্গলপ্রদীপ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। একই সঙ্গে মা ভক্ত মহান এই সাধক-এঁর মা-এঁর রওজায়ও শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। মিলাদ ও মুনাজাত পরিচালনার মাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন পর্ব মূলতবী হয়। মিরপুর আস্তানা শরীফ ছাড়াও হাক্কানী মিশন বাংলাদেশ ব্যবস্থাপনা সংসদের সদস্যবৃন্দ এবং বাংলাদেশের অন্যান্য হাক্কানী দরবার হতে আগত ভক্ত ও আশেকানবৃন্দ সাধক-এঁর রওজায় শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।
শ্রদ্ধা, ভক্তি ও আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে হাক্কানী বর্ষবরণ ও আবির্ভাব আবহে শান্তি সমাবেশ উদ্বোধন হয় ১ অগ্রহায়ণ বিকেল ০৪.০১ মিনিটে। ৪.৩১ মিনিটে হাক্কানী শব্দ তরঙ্গের তালে-তালে কর্ম-মানবতা-শান্তির তিনটি পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। উদ্বোধনী পর্বে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন আবির্ভাব উদ্যাপন পরিষদের আহ্বায়ক শাহ্ শওকত আলী খান। অন্যান্য আয়োজনের মধ্যে ছিল দিবা-রাত্রি সন্ধিক্ষণে দরবারের পশ্চিম ও পূর্ব পার্শ্বের মঙ্গলপ্রদীপ শ্রদ্ধা নিবেদন, বিশেষ পর্বে কেক কেটে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, বাণী তাৎপর্য অন্বেষণ, ভাবসঙ্গীত ও শোধনসেবা। পশ্চিম পার্শ্বে মঙ্গলপ্রদীপ শ্রদ্ধা নিবেদন ও বিশেষ পর্বে কেক কেটে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন মিরপুর আস্তানা শরীফ ব্যবস্থাপনা সংসদের মহাসিচব শাহ্ জাহাঙ্গীর আলম। পূর্ব পার্শ্বে মঙ্গল প্রদীপ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন হাক্কানী পরিবারের ১১ জন সদস্য। বাণী তাৎপর্য অন্বেষণের পর হামিবা সাংস্কৃতিক একাডেমীর শিক্ষার্থীবৃন্দের পরিবেশনায় ভাবসঙ্গীত এবং শোধনসেবা বিতরণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান মূলতবী হয়।
এবছর ১৭ অগ্রহায়ণ-১৪২৪, ১ ডিসেম্বর’১৭ শুক্রবার ছিল সূফী সাধক আনোয়ারুল হক-এঁর ৮১তম আবির্ভাব দিবস। মিরপুর আস্তানা শরীফে বর্ণাঢ্য আয়োজন ও আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে আবির্ভাব দিবস উদ্যাপন করা হয়। বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যে ছিল শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, মুক্ত আলোচনা, দিবা-রাত্রি সন্ধিক্ষণে মঙ্গল প্রদীপ শ্রদ্ধা নিবেদন-সান্ধ্যকালীন হাক্কানী নৈবেদ্য, সার্ক সূফী সম্মেলনে হাক্কানী মিশন বাংলাদেশ ও জ্যোতির্ময় প্রদর্শনী, ভাবসঙ্গীত, হাক্কানী নৈবেদ্য ও শোধনসেবা। মুক্ত আলোচনা পর্বে – ‘সূফী সাধক আনোয়ারুল হক পরিভ্রমণে’ বিষয়ের উপর আলোচনা হয়। দিবা-রাত্রি সন্ধিক্ষণে দরবারের পশ্চিম দিকে মঙ্গলপ্রদীপ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন হাক্কানী মিশন বাংলাদেশ-এর ভারপ্রাপ্ত প্রধান পৃষ্ঠপোষক খালেদা খানম রুনু। দরবারের পূর্ব দিকে মঙ্গলপ্রদীপ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন হাক্কানী পরিবারের ১১ জন সদস্য। কেক কেটে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন খালেদা খানম রুনু, তাঁর সঙ্গে ছিল দরবারের ক্ষুদে বন্ধু রাজলক্ষ্মী, তানজিম, নদী, আহনাফ, শুভ ও রাইসা। এরপর ছিল ‘সার্ক সূফী সম্মেলনে হাক্কানী মিশন বাংলাদেশ’ ও ‘জ্যোতির্ময় প্রদর্শনী। সারারাতব্যাপী ভাবসঙ্গীতের ভাবরাজ্যে আনন্দ অবগাহন করেন ভক্ত-আশেকানবৃন্দ। ভাবসঙ্গীত পরিবেশনায় ছিলেন হামিবা সাংস্কৃতিক একাডেমীর শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং বিভিন্ন দরবার হতে আগত শিল্পীবৃন্দ। রাত্রি-দিবা সন্ধিক্ষণে হাক্কানী নৈবেদ্য ও শোধনসেবা বিতরণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান মূলতবী হয় পরের বছর ‘আবির্ভাব দিবস’ পর্যন্ত।
২৩ অগ্রহায়ণ ১৪২৪, ৭ ডিসেম্বর’১৭ বৃহস্পতিবার সূফী সাধক হযরত আবু আলী আক্তার উদ্দিন-এঁর আবির্ভাব দিবসে মিরপুর আস্তানা শরীফে বিশেষ শান্তি সমাবেশের আয়োজন করা হয়। আয়োজনের মধ্যে ছিল বর্তমান সংলাপ হতে পাঠ, বাণী তাৎপর্য অন্বেষণ, দিবা-রাত্রি সন্ধিক্ষণে মঙ্গল প্রদীপ শ্রদ্ধা নিবেদন, বিশেষ পর্ব – কেক কেটে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, হাক্কানী নৈবেদ্য ও শোধনসেবা। বাণী তাৎপর্য অন্বেষণের পর শোধনসেবা বিতরণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান মূলতবী হয়।
মাসব্যাপী অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন মিরপুর আস্তানা শরীফ ব্যবস্থাপনা সংসদের সদস্য শাহ্ আবেদা বানু তরু, আব্দুল কাদের টিটু, বর্তমান সংলাপ পরিবারের সদস্য ফরিদা খাতুন মনি ও শেখ সাদি এবং সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আবির্ভাব উদ্যাপন পরিষদ।
বাংলাদেশ হাক্কানী খানকা শরীফ, খুলনা
১, ১৭, ২৩ ও ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪২৪ বাংলাদেশ হাক্কানী খানকা শরীফ খুলনায় শান্তি সমাবেশের আয়োজন করা হয়। আয়োজনের মধ্যে ছিল হাক্কানী বন্দনা, হাক্কানী ওজায়িফ পাঠ, যিকির, মঙ্গল প্রদীপ শ্রদ্ধা নিবেদন, দরবার ও শিষ্টাচার এবং মহান সাধক-এঁর জীবনী পাঠ, কেক কেটে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, মুক্ত আলোচনা, বাণী তাৎপর্য অন্বেষণ, মিলাদ, মুনাজাত, হাক্কানী নৈবেদ্য ও শোধনসেবা।
প্রতিদিন বাদ আসর হাক্কানী বন্দনা গীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। ৪ দিন দিবা-রাত্রি সন্ধিক্ষণে মঙ্গল প্রদীপ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শাহ্ সূফী শেখ হায়দার আলী, দরবারের ভক্ত মাসুদা শেখ, নিশাত আহমেদ, ইসরাত আলম পিয়া ও ইসরাত জাহান বেবী। প্রতিদিন বিশেষ পর্বে শাহ্ সূফী শেখ হায়দার আলী-এঁর নেতৃত্বে কেক কেটে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন দরবারের ভক্ত ও আশেকানবৃন্দ এবং সকলে সুশৃঙ্খলভাবে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। হাক্কানী নৈবেদ্যর পর শোধনসেবা বিতরণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান মূলতবী হয়।
১৭ অগ্রহায়ণ ১৪২৪ সূফী সাধক আনোয়ারুল হক-এঁর ৮১তম আবির্ভাব দিবস উপলক্ষে ছিল বিশেষ অনুষ্ঠান। বাণী তাৎপর্য অন্বেষণ পর্র্বে সূফী সাধক আনোয়ারুল হক-এঁর বাণী – ‘জ্ঞানী-গুণীজন কারো মন্দ গায় না – বিপথগামীও করে না, যারা বুঝে না তারা অজ্ঞ, শিক্ষিত হলে হবে কি’-এর উপর তাৎপর্য অন্বেষণ করেন শাহ্ সূফী শেখ হায়দার আলী, ইসরাত আলম, রাবেয়া শারমিন, শেখ ওয়াহিদুজ্জামান এবং আবু মূসা।
২৩ অগ্রহায়ণ সূফী সাধক আবু আলী আক্তার উদ্দিন-এঁর আবির্ভাব দিবস উপলক্ষে ছিল বিশেষ অনুষ্ঠান। বাণী তাৎপর্য অন্বেষণ পর্বে সূফী সাধক আবু আলী আক্তার উদ্দিন-এঁর বাণী – ‘জ্ঞান অর্জনে বই কেতাব হতে মানুষ কেতাব উত্তম’ – এর উপর তাৎপর্য অন্বেষণ করেন শাহ্ সূফী শেখ হায়দার আলী, ইসরাত আলম, রাবেয়া শারমিন, শেখ ওয়াহিদুজ্জামান, আবু মূসা এবং জি.এম. মহিউদ্দিন।
৩০ অগ্রহায়ণ বৃহস্পতিবার আবির্ভাব আবহ ও বাংলাদেশ হাক্কানী খানকা শরীফ খুলনার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপনে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সূফী সাধক শেখ আব্দুল হানিফ-এঁর বাণী – ‘সংস্কারমুক্ত হয়ে সমাজে সত্য প্রতিষ্ঠিত করার পথে পা বাড়াও, তুমি তোমার আল্লাহ্র রহমত হতে বঞ্চিত হবে না’-এর উপর তাৎপর্য অন্বেষণ করেন রাবেয়া শারমিন, ইসরাত আলম, নিশাত আহমেদ, শেখ ওয়াহিদুজ্জামান, আবু মূসা ও খান শরফরাজ আলী। মিলাদের পর শোধনসেবা বিতরণের মধ্য দিয়ে অগ্রহায়ণ সমাপণী অনুষ্ঠান মূলতবী করা হয়।
বাংলাদেশ হাক্কানী খানকা শরীফ, গৌরাঙ্গী, টাঙ্গাইল
সূফী সাধক আনোয়ারুল হক আশীর্বাদপুষ্ট বাংলাদেশ হাক্কানী খানকা শরীফ গৌরাঙ্গী, টাঙ্গাইল উদ্বোধন উপলক্ষে শান্তি সমাবেশের আয়োজন করা হয় ১০ অগ্রহায়ণ ১৪২৪, ২৪ নভেম্বর ২০১৭, শুক্রবার বিকেল ০৪.০১ মিনিটে টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল থানার, গৌরাঙ্গীস্থ দক্ষিণ পাড়া কালু মাস্টারের বাড়িতে। অনুষ্ঠানসূচীতে ছিল খতমে কুরআন পাক, উদ্বোধন, শ্রদ্ধা নিবেদন, হাক্কানী ওজায়িফ পাঠ, আলোচনা, মিলাদ-মাহফিল, হাক্কানী নৈবেদ্য, মুনাজাত, শোধনসেবা ও ভাবসঙ্গীত।
১৭ই অগ্রহায়ণ ১৪২৪, ১ ডিসেম্বর ২০১৭ শুক্রবার, সূফী সাধক আনোয়ারুল হক আবির্ভাব দিবস উদ্যাপনে বিশেষ শান্তি সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বিকাল ৪.০০টায় আসরের সালাতের পর হাক্কানী ওজায়িফ পাঠের পর দরবার ও আদব পুস্তিকা পাঠ করেন দরবারের ভক্ত মো: শহীদ খান এবং সাপ্তাহিক বর্তমান সংলাপ থেকে পাঠ করেন আব্দুল হামীম মিয়া।
সন্ধ্যা ৫:৪৫ মিনিটে কেক কেটে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন দরবারের তত্ত্বাবধায়ক শাহ্ অধ্যাপক আব্দুল হালিম মিয়া ও দরবার কমিটির আহ্বায়ক মো: আব্দুল হামিদ মিয়া। মিলাদ শরীফ পরিচালনায় ছিলেন গৌরাঙ্গী উত্তরপাড়া জামে মসজিদের পেশ ইমাম মো: আনোয়ার হোসেন। অনুষ্ঠান সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন আব্দুল হামীম মিয়া ও নাসরিন সুলতানা জুলি। শোধনসেবা বিতরণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান মূলতবি হয়।
বাংলাদেশ হাক্কানী খানকা শরীফ – আনারপুর, নরসিংদী
২৯ অগ্রহায়ণ ১৪২৪, ১৩ ডিসেম্বর’১৭ বুধবার বাংলাদেশ হাক্কানী খানকা শরীফ আনারপুর, নরসিংদীতে আবির্ভাব আবহে আনন্দ দিবস উদ্যাপন করা হয়। বাদ আসর বন্দনা সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। দিবা-রাত্রি সন্ধিক্ষণে মঙ্গল প্রদীপ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দরবারের ভক্ত হাসনা, হুসনা, সালমা, রুবি, আতাউর, আরশাদ ও রুবেল। মাগরিবের সালাতের পর হাক্কানী কথা, হাক্কানী ওজায়িফ ও সূফী সাধক আনোয়ারুল হক-এঁর জীবনী পাঠ করা হয়। বন্দনাসহ যিকির ও মিলাদের পর আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়। আগত অতিথিগণ হাক্কানী আদর্শ, হাক্কানী মিশন বাংলাদেশ ও বাহাখাশ-এর কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং এই এর সকল কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো: ইসহাক খলিল বাবু এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবলীগ নেতা নুরুল ইসলাম।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো: শেখ ওমর ফারুক রাজীব, সদর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি সরোয়ার মো: ফয়সাল এবং ছাত্রলীগের প্রায় ৩০-৪০ জন কর্মী। রাত ৮.০১ মিনিটে ‘হাক্কানী শুভানুধ্যায়ী’ লেখা সম্বলিত কেক কেটে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মো: ইসহাক খলিল বাবু, তার সঙ্গে ছিলেন ছাত্রলীগের কর্মীবৃন্দ এবং দরবারের ভক্ত-আশেকান এবং ‘আনারই সত্য, আনারই আনন্দ’ এই নিবেদনে ২য় কেক কেটে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন দরবারের সকল ভক্ত-আশেকান ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ। মুনাজাত পরিচালনা করেন কারারচর বাজার মসজিদ এর খতিব আব্দুস সবুর খান। হাক্কানী নৈবেদ্যর পর শোধনসেবা বিতরণ করা হয়। এরপর শুরু হয় ভাবসঙ্গীত। ভাবসঙ্গীত পরিবেশনায় ছিলেন স্থানীয় শিল্পী ফাহিম ও তার দল। রাত ৩.০১ মিনিটে অনুষ্ঠান মূলতবী হয়। সঞ্চালনায় ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের পলাশ থানা সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম খলিল এবং ব্যবস্থাপনায় ছিলেন দরবারের ভক্ত হিরন, আতাউর, সোলেমান, আরশাদ আলী ও সেলিমসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
বাংলাদেশ হাক্কানী খানকা শরীফ, আশুলিয়া
১৭ অগ্রহায়ণ ১৪২৪, ১ ডিসেম্বর ২০১৭ শুক্রবার বাংলাদেশ হাক্কানী খানকা শরীফ আশুলিয়ায় আবির্ভাব দিবসে শান্তি সমাবেশ উদ্যাপিত হয়। বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যে ছিল কুরআন থেকে তেলাওয়াত, দিবা-রাত্রি সন্ধিক্ষণে মঙ্গলপ্রদীপ শ্রদ্ধা নিবেদন, সালাত, হাক্কানী ওজায়িফ পাঠ, কেক কেটে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, মিলাদ, মুক্ত আলোচনা, ভাবসঙ্গীত, মুনাজাত ও শোধনসেবা বিতরণ।
সকাল ৯.০১ মিনিটে কুরআন থেকে তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। দিবা-রাত্রি সন্ধিক্ষণে মঙ্গলপ্রদীপ শ্রদ্ধা নিবেদন, হাক্কানী ওজায়িফ পাঠ ও মিলাদের পর দরবারের ক্ষুদে বন্ধুদের নিয়ে কেক কেটে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন দরবারের পরিচালক আরিফুল ইসলাম ভূইয়া। ধর্মীয় আলোচনা ও রাতের শোধনসেবার পর শুরু হয় ভাবসঙ্গীত, চলে সারারাত। স্থানীয় শিল্পীবৃন্দ পরিবেশিত ভাবসঙ্গীত উপস্থিত ভক্ত-আশেকানদের গভীর ভাবজগতে নিমগ্ন রাখে। ভোর ৪.৩০ মিনিটে মুনাজাত ও শোধনসেবা বিতরণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান মূলতবী হয়।
বাংলাদেশ হাক্কানী খানকা শরীফ, গাজীপুর
২৮ অগ্রহায়ণ’২৪, ১২ ডিসেম্বর’১৭ মঙ্গলবার বাংলাদেশ হাক্কানী খানকা শরীফ গাজীপুরে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। দিবা-রাত্রি সন্ধিক্ষণে মঙ্গল প্রদীপ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দরবার ব্যবস্থাপনা সংসদের সাংগঠনিক সচিব খালেদা খাতুন পারুল। কেক কেটে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন দরবার ব্যবস্থাপনা সংসদের সদস্যবৃন্দ। সূফী সাধক আনোয়ারুল হক – এঁর বাণী – ‘জ্ঞানী-গুণীজন কারো মন্দ গায় না, বিপথগামীও করে না, যারা বুঝে না তারা অজ্ঞ শিক্ষিত হলে কি’ – এর উপর তাৎপর্য অন্বেষণ করেন ঢাকা হতে আগত বাহাখাশ কেন্দ্রিয় ব্যবস্থাপনা সংসদের সভাপতি শাহ্ মো: লিয়াকত আলী, সহ-সভাপতি শাহ্ শাহাব উদ্দিন খান, কুতুববাগ দরবার শরীফ জামে মসজিদ ফার্মগেট, ঢাকা’র খতিব আল্লামা খাজা গোলাম আম্বিয়া, গাওসুল আজম জামে মসজিদ জয়দেবপুর, গাজীপুর’র খতিব শাহ্ সূফী আলহাজ¦ হযরত মো. আক্তার হোসেন, ও আফজাল নগর, সিরাজগঞ্জের বিশিষ্ট বক্তা সৈয়দ খাজা আব্দুল্লাহ আল কুদরাত উল্লাহ। শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন হামিবা ব্যবস্থাপনা সংসদের সহ-সভাপতি শাহ্ ইমতিয়াজ আহমেদ, বাহাখাশ কেন্দ্রিয় ব্যবস্থাপনা সংসদের যুগ্ন-সচিব শাহ্ শহীদুল আলম ও কোষাধ্যক্ষ শাহ্ খায়রুল মোস্তফা। মিলাদ ও মুনাজাতের পর অনুষ্ঠানে আগতদের মাঝে শোধনসেবা বিতরণ করা হয়। রাত ১২:৩০ মি: হতে ভোর ৪:৪৫ মি: পর্যন্ত চলে ভাবসঙ্গীত। শিল্পী খোরশেদ আলম ও তার দল ভাবসঙ্গীত পরিবেশন করেন। শান্তি সমাবেশ সভাপতিত্ব করেন দরবার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি এড. মো: হাদ্দিউল ইসলাম। সঞ্চালনায় ছিলেন ডা. মো: নজরুল ইসলাম ফকির।
বাংলাদেশ হাক্কানী খানকা শরীফ, জয়নগর, ভোলা
বাংলাদেশ হাক্কানী খানকা শরীফ জয়নগর দৌলতখান ভোলায় ১, ২৩ ও ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪২৪ শান্তি সমাবেশ-এর আয়োজন করা হয়। আয়োজনের মধ্যে ছিল হাক্কাণী বর্ষবরণ, সালাত, ওজায়িফ পাঠ, কেক কেটে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, মিলাদ, মুনাজাত ও শোধনসেবা বিতরণ।
প্রতিদিন অনুষ্ঠান শুরু হয় বাদ আসর। হাক্কানী বর্ষবরণ অনুষ্ঠান ছাড়াও প্রতিদিন কেক কেটে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। বাংলাদেশ হাক্কানী খানকা শরীফ-এর সদস্য শাহ্ খায়রুল ইসলাম চৌধুরী নওরোজ-এঁর নেতৃত্বে কেক কেটে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন দরবারের ভক্ত ও আশেকানবৃন্দ। হাক্কানী ওজায়িফ পাঠ করেন দরবারের ভক্ত রায়হান পাভেল। হাক্কানী নৈবেদ্য, মিলাদ, মুনাজাত ও শোধনসেবা বিতরণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান মূলতবি হয়।
বাংলাদেশ হাক্কানী খানকা শরীফ – ভোলা সদর, ভোলা
১ অগ্রহায়ণ ১৪২৪ বাংলাদেশ হাক্কানী খানকা শরীফ ভোলা সদর ভোলায় আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে শান্তি সমাবেশের আয়োজন করা হয়। আসরের সালাতের পর হাক্কাণী বর্ষবরণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। দিবা-রাত্রি সন্ধিক্ষণে মঙ্গলপ্রদীপ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দরবার কমিটির মহাসচিব মোর্শেদা খানম চৌধুরী। বিশেষ পর্বে কেক কেটে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন মোর্শেদা খানম চৌধুরীর নেতৃত্বে দরবারের ভক্ত-আশেকানবৃন্দ। সূফী সাধক শেখ আব্দুল হানিফ-এঁর বাণী ‘সত্যমানুষ হোন, দেশ ও জাতির কল্যাণ হবেই হবে’-এর উপর তাৎপর্য অন্বেষণ করেন দরবার কমিটির সভাপতি শাহনাজ পারভীন ও মহাসচিব মোর্শেদা খানম চৌধুরী। মিলাদ, মুনাজাত ও শোধনসেবা বিতরণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান মূলতবী হয়।
বাংলাদেশ হাক্কানী খানকা শরীফ, কুষ্টিয়া
১৯ অগ্রহায়ণ ১৪২৪, ৩ ডিসেম্বর ২০১৭ সোমবার বাংলাদেশ হাক্কানী খানকা শরীফ কুষ্টিয়ায় আবির্ভাব আবহে শান্তি সমাবেশের আয়োজন করা হয়। আয়োজনের মধ্যে ছিল মঙ্গল প্রদীপ শ্রদ্ধা নিবেদন, কেক কেটে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, স্বাগত বক্তব্য, শ্রদ্ধাঞ্জলি, বরণমাল্য প্রদান, বাণী তাৎপর্য অন্বেষণ, ভাবসঙ্গীত, হাক্কানী নৈবেদ্য ও শোধনসেবা।
দিবা-রাত্রি সন্ধিক্ষণে মঙ্গলপ্রদীপ শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। মঙ্গল প্রদীপ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দরবারের ভক্ত শফিকুল ইসলাম ও বীর মুক্তিযোদ্ধা খুররম শাহরিয়ার। সন্ধ্যা ৬.০১ মিনিটে দরবারের তত্ত্বাবধায়ক শাহ্ দিলারা নাজমা স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। সূফী সাধক আনোয়ারুল হক-এঁর জীবনী পাঠ করেন দরবারের ভক্ত কৃষ্ণা জেরিন। মহান সাধক-এঁর আবির্ভাব স্মরণে কেক কেটে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন দরবারের ভক্ত সৃষ্টি, শারমিন ও জোস্না। অনুষ্ঠানে আগত সকলে শৃঙ্খলার সাথে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। এসময় সকলকে বরণমাল্যে বরণ করে নেয়া হয়। সূফী সাধক আনোয়ারুল হক-এঁর বাণী – ‘প্রশংসাকারী হও, তাহলে তুমিও প্রশংসিত হতে পারবে’-এর উপর তাৎপর্য অন্বেষণ করেন উপস্থিত ভক্ত-আশেকানবৃন্দ। ভাবসঙ্গিত পরিবেশন করেন সত্যব্রতী সাংস্কৃতিক একাডেমী, কুষ্টিয়ার শিল্পী রাজীব, ইমন, মামুন, শফিক, ও পথিক। হাক্কানী নৈবেদ্য ও শোধনসেবা বিতরণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান মূলতবী হয়।
বাংলাদেশ হাক্কানী খানকা শরীফ, নবাবগঞ্জ
২৫ অগ্রহায়ণ ১৪২৪, ০৮ ডিসেম্বর ২০১৭, শুক্রবার বাংলাদেশ হাক্কানী খানকা শরীফ নবাবগঞ্জে শান্তি সমাবেশ উদযাপিত হয়। মাগরিবের সালাতের পর সূফী সাধক আনোয়ারুল হক-এঁর জীবনী পাঠ করার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। ঢাকা হতে আগত হাক্কানী মিশন বাংলাদেশ ব্যবস্থাপনা সংসদের যুগ্ম-মহাসচিব মো. জাহিদ হোসেন বাবু ও সভাপতি শাহ্ সূফী ড. মুহাম্মদ মেজবাহ্-উল-ইসলাম হাক্কানী মিশন বাংলাদেশ এর সার্বিক কার্যক্রমের সংক্ষিপ্ত রূপ তুলে ধরে কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য উপস্থিত ভক্ত-আশেকানদের প্রতি আহ্বান জানান। দিবা-রাত্রি সন্ধিক্ষণে মঙ্গলপ্রদীপ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মিশন সভাপতি শাহ্ সূফী ড. মুহাম্মদ মেজবাহ্-উল-ইসলাম। এরপর দরবারের ক্ষুদে বন্ধুদের নিয়ে কেক কেটে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। মিলাদ পরিচালনা করেন দরবারের ভক্ত মো: স্বপন। সকলের মাঝে শোধনসেবা পরিবেশনের মধ্য দিয়ে পরের বছর অগ্রহায়ণ পর্যন্ত আবির্ভাব অনুষ্ঠান মূলতবী হয়।
বাংলাদেশ হাক্কানী খানকা শরীফ – কালিকাপুর, হবিগঞ্জ
২৬ অগ্রহায়ণ’২৪, ১০ ডিসেম্বর’১৭, রবিবার বাংলাদেশ হাক্কানী খানকা শরীফ কালিকাপুরে আবির্ভাব আবহে শান্তি সমাবেশ উদ্যাপিত হয় বিকেল ৩.০১ মিনিটে। বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যে ছিল হাক্কানী ওজায়িফ পাঠ, মুক্ত আলোচনা, কেক কেটে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, মিলাদ, মুনাজাত ও শোধনসেবা বিতরণ।
বিকেল ৩.১৫ মিনিটে ভক্ত-আশেকানবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে কেক কেটে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন শাহ্ সৈয়দ আছাদ আলী। সূফী সাধক আনোয়ারুল হক-এঁর জীবনী ও স্মৃতিকথন বিষয়ে আলোচনা করেন দরবারের ভক্ত হাশর আলী, তাসাদ্দুক মিয়া, মফিজ মিয়া ও শাহ্ সৈয়দ আছাদ আলী। মিলাদ ও মুনাজাত পরিচালনা করেন তাসাদ্দুক মিয়া। হাক্কানী নৈবেদ্য ও শোধনসেবা বিতরণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান মূলতবী হয়।
বাংলাদেশ হাক্কানী খানকা শরীফ – হোতখালী, পিরোজপুর
২৩ অগ্রহায়ণ ১৪২৪, ০৭ ডিসেম্বর’১৭ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ হাক্কানী খানকা শরীফ হোতখালি, পিরোজপুরে উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে আবির্ভাব আবহে শান্তি সমাবেশ উদ্যাপিত হয়। বিশেষ আয়োজনের মধ্যে ছিল আলোচনা, দরিদ্রদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ, দিবা-রাত্রি সন্ধিক্ষণে মঙ্গল প্রদীপ শ্রদ্ধা নিবেদন, হাক্কানী ওজায়িফ পাঠ, কেক কেটে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, ভাবসঙ্গিত, মিলাদ, হাক্কানী নৈবেদ্য ও শোধনসেবা।
অনুষ্ঠান শুরু হয় সকাল ৯.০১ মিনিটে। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গুলিশাখালি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রিয়াজুল আলম ঝনু। মানবতা বিষয়ের উপর বক্তব্য রাখেন এলাকার মেম্বর ফারুক ফরাজী, অতিথি ইয়াকুব ফরাজি, চেয়ারম্যান রিয়াজুল আলম ঝনু, বরিশাল বেতারের শিল্পী শাহীন আজাদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আমীর হোসেন, বাংলাদেশ হাক্কানী খানকা শরীফের সদস্য শাহ্ হিমাদ্রি শেখর কেশব ও হোতখালি খানকা শরীফের তত্ত্বাবধায়ক শাহ্ মাহবুব আলম নান্টু। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আমীর হোসেন। এরপর হোতখালি ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার দরিদ্র মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয় বিকেল ০৫.০১ মিনিটে। দিবা-রাত্রি সন্ধিক্ষণে মঙ্গলপ্রদীপ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দরবারের ভক্ত জুনায়েদ আহম্মদ মামুন, মিঠু মিয়া ও সবুজ মিয়া। কেক কেটে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার রায়হানপুর ইউনিয়নে প্রতিষ্ঠিত সৈয়দ ফজলুল হক ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. জিয়াউল করিম। হাক্কানী ওজায়িফ পাঠ করেন শিক্ষার্থী আরিফ। ভাবসঙ্গীত, মিলাদ ও শোধনসেবা বিতরণের মধ্য দিয়ে মধ্যরাতে অনুষ্ঠান মূলতবী হয়।
বাংলাদেশ হাক্কানী খানকা শরীফ – জঞ্জলবাড়ি, কিশোরগঞ্জ
১ অগ্রহায়ণ’২৪, ১৫ নভেম্বর’১৭ বুধবার বাংলাদেশ হাক্কানী খানকা শরীফ জঞ্জলবাড়ি, কিশোরগঞ্জে হাক্কানী বর্ষবরণ ও আবির্ভাব আবহে শান্তি সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বাদ আসর সালাতের পর কেক কেটে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন দরবার কমিটির সদস্য ও উপস্থিত ভক্ত-আশেকানবৃন্দ। অনুষ্ঠানে আগত সকলে শৃঙ্খলার সাথে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। দিবা-রাত্রি সন্ধিক্ষণে মঙ্গলপ্রদীপ শ্রদ্ধা নিবেদন ও মিলাদ পরিচালনা করেন দরবার কমিটির কোষাধ্যক্ষ গাউছিয়া তানিয়া। এরপর শুরু হয় ভাবসঙ্গীত, চলে মধ্যরাত অবধি। ভাবসঙ্গীত পরিবেশন করেন স্থানীয় শিল্পী শামসুল আলম বাবু, রোকেয়া বেগম মুকুল, মেহেদী হাসান, অনিক ও রিয়াজুল ইসলাম চনয়। হাক্কানী নৈবেদ্য ও শোধনসেবা বিতরণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান মূলতবী হয়।
বাংলাদেশ হাক্কানী খানকা শরীফ – ভৈরবপুর, ভৈরব
১৯ ও ২০ অগ্রহায়ণ ১৪২৪, ৩ ও ৪ ডিসেম্বর’১৭ রবি ও সোমবার বাংলাদেশ হাক্কানী খানকা শরীফ ভৈরবে আবির্ভাব আবহে শান্তি সমাবেশ উদ্যাপিত হয়। বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যে ছিল হাক্কানী ওজায়িফ পাঠ, যিকির, ওয়াজ, মিলাদ-মাহফিল, ভাবসঙ্গীত ও শোধনসেবা।
১৯ অগ্রহায়ণ রবিবার পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয় বাদ আসর। পতাকা উত্তোলন করেন দরবার কমিটির সভাপতি নাজমুল হক, সহ-সভাপতি খবির উদ্দিন খোকা ও উদযাপন কমিটির মহাসচিব আশরাফুর রহমান নোমান। ১৯ ও ২০ অগ্রহায়ণ দুই দিনই দিবা-রাত্রি সন্ধিক্ষণে মঙ্গলপ্রদীপ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বাংলাদেশ হাক্কানী খানকা শরীফ ভৈরবের তত্ত্বাবধায়ক শাহ্ মো: মহিউদ্দিন বকশি এবং কেক কেটে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন দরবার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন। এছাড়া যিকির, ওয়াজ, মিলাদ মাহফিল ও মুনাজাত পরিচালনা করেন স্থানীয় মসজিদের মৌলভী মো. মোস্তফা। ১৯ অগ্রহায়ণ সূফী সাধক আনোয়ারুল হক-এঁর বাণী – ‘জ্ঞানী-গুণীজন কারো মন্দ গায় না, বিপথগামীও করে না, যারা বোঝে না তারা অজ্ঞ, শিক্ষিত হলে হবে কি’-এর উপর তাৎপর্য অন্বেষণ করেন দরবার কমিটির সদস্য আব্দুল হানিফ মিয়া ও মৌলভী মো. মোস্তফা। ২০ অগ্রহায়ণ অনুষ্ঠান শুরু হয় বিকেল ৫.০১ মিনিটে। ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ্র উপর নির্ভরশীল, তাঁর জন্য তাঁর আল্লাহই যথেষ্ট’ – বাণীর উপর তাৎপর্য অন্বেষণ করেন দরবার কমিটির সদস্য আব্দুল হানিফ মিয়া। এরপর শুরু হয় ভাবসঙ্গীত, চলে রাত ৩.০১ মিনিট পর্যন্ত। মুনাজাত, হাক্কানী নৈবেদ্য ও শোধনসেবা বিতরণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান মূলতবী হয়। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন দরবারের তত্ত্বাবধায়ক শাহ্ মো. মহিউদ্দিন বকশি।
ছোটাবন্দ হাক্কানী দরবার শরীফ – কিশোরগঞ্জ
১৯ অগ্রহায়ণ ১৪২৪, ৩ ডিসেম্বর’১৭ সোমবার সকল ভক্ত-আশেকানদের স্বত:স্ফূর্ত উপস্থিতি ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ছোটাবন্দ হাক্কানী দরবার শরীফে আবির্ভাব আবহে শান্তি সমাবেশের আয়োজন করা হয়। দুপুর ১২.০১ মিনিট হতে বিশেষ মিলাদ মাহফিল এবং শোধনসেবায় সকলকে আপ্যায়ণ করা হয় বিকেল ৪.০০মিনিট পর্যন্ত। সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটে পুনরায় মিলাদ মাহফিল শুরু হয়। রাত ৯.০১ মিনিটে সকলের অংশগ্রহণে কেক কেটে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের পর সূফী সাধক আনোয়ারুল হক-এঁর বাণী – ‘বিশ্বাস ঘাতকেরাই নিজ নিজ কামনায় ধরা পরে’ – এর উপর তাৎপর্য অন্বেষণ করেন সরারচর আস্তানা শরীফ ব্যবস্থাপনা সংসদের সভাপতি মো: শরফুল ইসলাম। এ পর্ব সভাপতিত্ব করেন মো. গোলাপ মিয়া। রাত ১০.০১ মিনিট হতে শুরু হয় ভাবসঙ্গীত, চলে ভোর পর্যন্ত। বাদ ফজর মুনাজাত ও শোধনসেবার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান মূলতবী হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন শাহরিয়ার সিদ্দিকী সৈকত।
সরারচর আস্তানা শরীফ, কিশোরগঞ্জ
২৪ অগ্রহায়ণ ১৪২৪, ৮ ডিসেম্বর’১৭ শুক্রবার সরারচর আস্তানা শরীফে শান্তি সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সকাল ৮.০১ মিনিটে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত, সকাল ১০.৩০ মিনিটে মহান সাধকদ্বয় স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন আস্তানা শরীফ ব্যবস্থাপনা সংসদের সকল সদস্য ও অন্যান্য দরবার হতে আগত ভক্ত-অনুসারীবৃন্দ। সকাল ১১.০১ মিনিটে মিলাদের পর ঢাকা হতে আগত বর্তমান সংলাপ পরিবারের সদস্য, বিশিষ্ট সাংবাদিক নজরুল ইশতিয়াক ও হাক্কানী মিশন বাংলাদেশ ব্যবস্থাপনা সংসদের নির্বাহী সভাপতি শাহ্ ড. মোহাম্মদ আলাউদ্দিন আলন উপস্থিত ভক্ত-আশেকানদের সম্মুখে হাক্কানী মিশনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরেন এবং এর কার্যক্রমে সকলের সম্পৃক্ততা ও অংশগ্রহণ বিষয়ে বক্তব্য প্রদান করেন। দুপুর ১২.৩১ মিনিটে কেক কেটে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।
সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিটে বিশেষ মিলাদ মাহফিলের পর সূফী সাধক আনোয়ারুল হক-এঁর বাণী – ‘ভোগের আনন্দ সাময়িক, ত্যাগের আনন্দ চিরন্তন’ – এর উপর তাৎপর্য অন্বেষণ করেন সরারচর আস্তানা শরীফ ব্যবস্থাপনা সংসদের সভাপতি মো: শরফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক শাহ্ মুহাম্মদ আকমল ইমাম, হাক্কানী জুনিয়র সংসদের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন ভূইয়া ও সুরেশ^রী দরবার শরীফের শাহ্ সূফী আব্দুল কাদের জিলানী। অনুষ্ঠান সভাপতিত্ব করেন মো: হায়দার আলী বাদশা। রাত ১০.০১ মিনিট হতে শুরু হয় ভাবসঙ্গীত, চলে সারারাত। বাদ ফজর মুনাজাত ও শোধনসেবা বিতরণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান মূলতবী হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন দরবারের ভক্ত নিউটন সাহা।
হাক্কানী খানকা শরীফ, যুক্তরাজ্য
১৭ অগ্রহায়ণ ১৪২৪, ১ ডিসেম্বর ২০১৭ শুক্রবার বাংলাদেশ হাক্কানী খানকা শরীফ লন্ডন, যুক্তরাজ্যে আবির্ভাব আবহে শান্তি সমাবেশ উদ্যাপিত হয়। বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যে ছিল মঙ্গল প্রদীপ শ্রদ্ধা নিবেদন, হাক্কানী ওজায়িফ পাঠ, কেক কেটে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, যিকির, ভাবসঙ্গীত ও শোধনসেবা বিতরণ।
সত্যাশ্রম – কমলাকান্দা, বিশাওতি
১০ অগ্রহায়ণ ১৪২৪, ২৪ নভেম্বর ২০১৭ শ্রক্রবার বিশাওতির কমলাকান্দা সত্যাশ্রমে শান্তি সমাবেশ এর আয়োজন করা হয়। আয়োজনের মধ্যে ছিল মঙ্গলপ্রদীপ শ্রদ্ধা নিবেদন, বিশেষ পর্ব কেক কেটে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, ভাবসঙ্গীত, হাক্কানী নৈবেদ্য ও শোধনসেবা। সকাল ১০.০১ মিনিটে মঙ্গল প্রদীপ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন অর্চনা রানী সাহা ও অনিমা রানী সাহা। কেক কেটে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন সত্যাশ্রমের তত্ত্বাবধায়ক, বাংলাদেশ হাক্কানী খানকা শরীফ (বাহাখাশ)-এর সদস্য শাহ্ রঞ্জন কুমার সাহা। স্থানীয় শিল্পীবৃন্দ পরিবেশিত ভাবসঙ্গীত অনুষ্ঠানে আগত বিপুল সংখ্যক মানুষকে আনন্দ অবগাহনে মাতিয়ে রাখে। হাক্কানী নৈবেদ্য ও শোধনসেবা বিতরণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান মূলতবী হয়।
হাক্কানী মিশন বিদ্যাপীঠ ও মহাবিদ্যালয়
সূফী সাধক আনোয়ারুল হক আশীর্বাদপুষ্ট হাক্কানী মিশন বিদ্যাপীঠ ও মহাবিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪২৪, ৯ ডিসেম্বর ২০১৭ শনিবার শান্তি সমাবেশ ও স্বাস্থ্য নিবেশ আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে ছিল শান্তি সমাবেশ এবং দ্বিতীয় পর্বে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য নিবেশ।
সকাল ৯.৩১ মিনিটে বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থীগণের অংশগ্রহণে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। সকাল ৯.৩৫ মিনিটে হাক্কানী শব্দ তরঙ্গের তালে জাতীয় পতাকা ও মিশন পতাকা উত্তোলন করেন হাক্কানী মিশন বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত প্রধান পৃষ্ঠপোষক খালেদা খানম রুনু এবং হাক্কানী মিশন বিদ্যাপীঠ ও মহাবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাসিমা করিম। হাক্কানী শব্দ তরঙ্গ পরিবেশনায় ছিলেন বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থী রুপা আক্তার, সোনিয়া, তামিমা, জেমমিন, হৃদয় হাসান ও শান্ত ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বিদ্যাপীঠের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাসিমা করিম। তিনি দুইজন মহান সূফী সাধক-এঁর আবির্ভাব দিবসে তাঁদের কৃপা, আশীর্বাদ প্রার্থনা করে বক্তব্য তুলে ধরেন। সূফী সাধক আনোয়ারুল হক-এঁর জীবনী পাঠ করেন বিদ্যাপীঠের কাউন্সিলর দেলোয়ার তামিমী অঞ্জন। সকাল ১০.০১ মিনিটে সূফী সাধক আনোয়ারুল হক-এঁর আবির্ভাব-৮১ উপলক্ষে হাক্কানী শব্দ তরঙ্গের তালে কেক কেটে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন হামিবা ভারপ্রাপ্ত প্রধান পৃষ্ঠপোষক খালেদা খানম রুনু, সঙ্গে ছিলেন বিদ্যাপীঠ ব্যবস্থাপনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দসহ সকল কাউন্সিলর ও শিক্ষার্থী।
বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থীদের স্বরচিত, অনিন্দ্য সুন্দর উপস্থাপনায় দেয়াল পত্রিকা ‘সূর্যসারথি’ উদ্বোধন করেন খালেদা খানম রুনু। অনুষ্ঠানের প্রথম পর্ব শেষে সমাপনী বক্তব্য রাখেন হাক্কানী মিশন বিদ্যাপীঠ ও মহাবিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা পর্ষদের সভাপতি শাহ্ সূফী ড. মুহাম্মদ মেজবাহ-উল ইসলাম।
সকাল ১০.২১ মিনিটে শুরু হয় দ্বিতীয় পর্ব – বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা। অনুষ্ঠানে আগত অতিথি, শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক এবং স্থানীয় জনগণকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন অভিজ্ঞ চার জন ডাক্তার। তারা হলেন – ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন, সোহরাওয়ার্দি হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. নাহিদ হাসান, স্কয়ার হসপিটালের চিকিৎসক ডা. নাসিরুল্লাহ্ কানন এবং ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. রবিউল হাসান। অনুষ্ঠান শেষে আগত সকলের মধ্যে শোধনসেবা বিতরণ করা হয়।
অগ্রাহায়ণী সমাপনী শান্তি সমাবেশ উদযাপনে
হাক্কানী আস্তানা শরীফ
আহম্মদনগর, ঢাকা
আবির্ভাবানন্দে অগ্রহায়ণী সমাপনী শান্তি সমাবেশ উদ্যাপিত হয় ২৯ ও ৩০ অগ্রহায়ণ’২৪ (১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর’১৭) বুধ ও বৃহস্পতিবার ঢাকার আহম্মদনগরে অবস্থিত হাক্কানী আস্তানা শরীফে।
২৯ অগ্রহায়ণ, ১ম দিন অতিথি বরণ ও আসন গ্রহণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয় বিকেল ৪.০১ মিনিটে। ৪.৩১ মিনিটে হাক্কানী শব্দ তরঙ্গের তালে পতাকা উত্তোলন করেন হাক্কানী মিশন বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত প্রধান পৃষ্ঠপোষক খালেদা খানম রুনু, বাহাখাশ কেন্দ্রিয় ব্যবস্থাপনা সংসদের সভাপতি শাহ্ মো: লিয়াকত আলী ও হাক্কানী আস্তানা শরীফের তত্ত্বাবধায়ক শাহ্ শওকত আলী খান।
দিবা-রাত্রি সন্ধিক্ষণে দরবারে মঙ্গল প্রদীপ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন হাক্কানী আস্তানা শরীফের তত্ত্বাবধায়ক শাহ্ সাহানাজ বেগম পিনু। সন্ধ্যা ৫.৩১ মিনিটে বিশেষ পর্বে মহান সাধকদ্বয়ের স্মরণে কেক কেটে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন হাক্কানী মিশন বাংলাদেশ (হামিবা) ব্যবস্থাপনা সংসদের নির্বাহী সভাপতি শাহ্ ড. মোহাম্মদ আলাউদ্দিন আলন, মিরপুর আস্তানা শরীফ মহিলা ব্যবস্থাপনা সংসদের কোষাধ্যক্ষ শাহ্ জোহরা খানম, সদস্য সফিউল আলম খোকন, বাংলাদেশ হাক্কানী খানকা শরীফ-এর সদস্য শাহ্ ফাতেহা লিলি খান এবং দরবারের ভক্ত আয়েশা খানম, সেলিম রহমান ও হাক্কানী আস্তানা শরীফ ব্যবস্থাপনা সংসদের সদস্যবৃন্দ। তাদের সঙ্গে ছিলেন দরবারের সকল ক্ষুদে বন্ধু ও উপস্থিত অতিথিবৃন্দ।
বাণী তাৎপর্য অন্বেষণ পর্বে সূফী সাধক আনোয়ারুল হক-এঁর চিরন্তন বাণী – ‘লেগে থাকলে মেগে খায় না’- এর উপর তাৎপর্য অন্বেষণ করেন বাংলাদেশ হাক্কানী খানকা শরীফ (বাহাখাশ)-এর সদস্য শাহ্ ফাতেমা আফরোজ নাসরিন, বাহাখাশ কেন্দ্রিয় ব্যবস্থাপনা সংসদের মহাসচিব শাহ্ শাহনাজ সুলতানা ও সভাপতি শাহ্ মো: লিয়াকত আলী, তরুণ উদীয়মান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বাহাদুর বেপারী, হামিবা ব্যবস্থাপনা সংসদের নির্বাহী সভাপতি শাহ্ ড. মোহাম্মদ
আলাউদ্দিন আলন ও হামিবা ভারপ্রাপ্ত প্রধান পৃষ্ঠপোষক খালেদা খানম রুনু। হাক্কানী নৈবেদ্য ও শোধনসেবা বিতরণের মধ্য দিয়ে প্রথম দিনের অনুষ্ঠান মূলতবী হয়।
৩০ অগ্রহায়ণ ২য় দিন অনুষ্ঠান শুরু হয় সন্ধ্যা ৫.০১ মিনিটে। দিবা-রাত্রি সন্ধিক্ষণে দরবারে মঙ্গল প্রদীপ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন হাক্কানী আস্তানা শরীফের তত্ত্বাবধায়ক শাহ্ শওকত আলী খান। সন্ধ্যা ৫.৩১ মিনিটে বিশেষ পর্বে মহান সাধকদ্বয়ের স্মরণে কেক কেটে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন হাক্কানী আস্তানা শরীফ ব্যবস্থাপনা সংসদের ৯ জন সদস্য। তারা হলেন তত্ত্বাবধায়ক – শাহ্ শওকত আলী খান ও শাহ্ সাহানাজ বেগম পিনু, সভাপতি – হায়দার আলী খান বহুলুল, সহ-সভাপতি – সফিকুল ইসলাম খান দুলাল, মহাসচিব – আব্দুল কাদের টিটু, যুগ্ম-মহাসচিব – দেলোয়ার হোসেন পিন্টু, কোষাধ্যক্ষ – মাহমুদুর রহমান খান রনি, সদস্য – নাহিদ হাসান সজিব ও আঞ্জুম আরা খানম কনক। সঙ্গে ছিলেন দরবারের সকল ক্ষুদে বন্ধু ও উপস্থিত ভক্ত-আশেকানবৃন্দ। বাণী তাৎপর্য অন্বেষণ পর্বে সূফী সাধক আনোয়ারুল হক-এঁর চিরন্তন বাণী -‘তারা ইসলামের আলোকে দেখিতে পায় নাই, যারা আল্লাহ্র জন্য লালায়িত নয়’ – এর উপর তাৎপর্য অন্বেষণ করেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ মুফতি খাজা গোলাম আম্বিয়া (আফজাল নগর দরবার ও মাজার শরীফ, সিরাজগঞ্জ), আব্দুল্লাহ আন মাঈমুন (খতিব, বায়তুন নূর জামে মসজিদ, কল্যাণপুর, ঢাকা), খাজা আব্দুল্লাহ কুদরত উল্লাহ, মুফতি মো. রমজান আলী রিজভী (ভাইস প্রিন্সিপাল, মাঞ্জুরুল ইসলাম রিজভীয়া আলীয়া মাদ্রাসা, বিজয়নগর, বি-বাড়িয়া), শাহ্ মো: লিয়াকত আলী (সভাপতি, বাহাখাশ কেন্দ্রিয় ব্যবস্থাপনা সংসদ) এবং লে. কর্ণেল কাজী সেলিম উদ্দিন (সভাপতি, হাক্কানী ট্রাস্ট)।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে রাতের শোধনসেবায় আপ্যায়ণের পর শুরু হয় ভাবসঙ্গিত। সারারাতব্যাপী ভাবসঙ্গিত ভক্ত-আশেকানদের গভীর ভাবানন্দে তন্ময় করে রাখে। ভাবসঙ্গীত পরিবেশনায় ছিলেন হামিবা সাংস্কৃতিক একাডেমীর শিক্ষার্থী মৌটুসী, নিটোল, আভা, শাহনূর, আলভী, পিয়াল, মিষ্টি, সাংস্কৃতিক একাডেমীর সদস্য ডা. সুমাইয়া সুলতানা সুম্মী ও সভাপতি শাহ্ শওকত আলী খান, তাদের সঙ্গে তবলায় সহযোগিতায় ছিলেন হাক্কানী যুব উন্নয়ন পরিষদের সদস্য সালেহ আল দীন সঙ্গীত ও সাদাফ।
এছাড়াও ভাবসঙ্গীত পরিবেশন করেন বাংলাদেশ হাক্কানী খানকা শরীফ গাজীপুর হতে আগত শিল্পী খোরশেদ আলম ও সাদিয়া আফরিন, তাদের সঙ্গে ঢোলে ছিলেন মফিজ, মন্দিরায় – শরীফ, পারকিনসনে – মোফাজ্জল, কুষ্টিয়া হতে আগত অতিথি শিল্পী মো: মিজানুর রহমান ভূট্টো, তার সঙ্গে তবলায় ছিলেন উজ্জ্বল, পারকিনসনে – সমীরণ, শিল্পী আরিফ বাউল, তার সঙ্গে হারমোনিয়ামে ছিলেন – সাইদুর রহমান, ঢোলে – সুকুমার চন্দ্র দাস, মন্দিরায় – শরীফ ফকির, অতিথি শিল্পী সুবাশ ক্ষ্যাপা এবং কীর্তন পরিবেশন করেন শিল্পী সমদর্শী গিরিধারী দাশ, তার সঙ্গে ঢোলে ছিলেন – শান্তি দাশ ও সংকীর্তন দাশ। ভোর ৫.০১ মিনিটে হাক্কানী নৈবেদ্য ও শোধনসেবা বিতরণের মধ্য দিয়ে মাসব্যাপী অনুষ্ঠান মূলতবী হয় পরের বছর ১৪২৫ অগ্রহায়ণ পর্যন্ত। সালাত পরিচালনায় ছিলেন বাহাখাশ কেন্দ্রিয় ব্যবস্থাপনা সংসদের সভাপতি শাহ্ মো: লিয়াকত আলী ও অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন হাক্কানী আস্তানা শরীফ ব্যবস্থাপনা সংসদের মহাসচিব আব্দুল কাদের টিটু এবং সার্বিক ব্যবস্থাপনায় হাক্কানী আস্তানা শরীফ ব্যবস্থাপনা সংসদ।